আজিজুল হক - যে কন্ঠ অবরোধ সত্ত্বেও সোচ্চার!
Tuesday, February 1, 2011
Sunday, January 23, 2011
আশুতোষ কলেজের ছাত্রদের প্রতিঃ সন্ত্রাসবাদীদের সন্ত্রস্ত করেই সন্ত্রাসমুক্তি সম্ভব
শাবাশ! কলেজের অদূরে, একশ গজের মধ্যে দু’দুজন বিধায়ক কাম জল্লাদ সেনাপতি ঘাঁটি
গেঁড়ে বসে থেকে ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সন্ত্রস্ত করার চেষ্টা করেও
শেষমেশ সফল হতে পারল না। আপনাদের সরব ঘৃণার হাত থেকে বাঁচতে পারল না বাংলা বরবাদকারি
বাহুবলীর দল| এক’গণ্ডা কলমবাজ গুণ্ডা আর আধ ডজন ক্যামেরাওলা সাংবাদিককে হতাশ করে আপনারা আপনাদের সাথীর
রক্তের জবাব দিয়েছেন। আপনারা হতাশ করেছেন রাজ্যপালকে! বিচারক যাদের নুন খেয়ে বসে
ছিলেন গুণ গাইবেন বলে, পারলেন না তাদের গুণ গাইতে—তাই তারাও ক্ষুব্ধ| এখন নতুন
ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন তারা| শকুনি মামার অন্তঃপুরে বসেছে দুর্যোধনের সভা|
পশ্চিম মেদিনীপুরে কোনো রকমেই না পেরে এখন বেতনভুক পুলিসকর্তা আর
কাঁথির যুব সেনাপতি গুণ্ডাটা জোট বেঁধেছে| পুলিশ লালগড়ে সিপিএম অফিস ভেঙ্গেছে| ভাংচুর হয়েছে
অনুজ পাণ্ডের বাড়ি| তাকে যাতে তৃনমূলী গুণ্ডারা পলিসের সহায়তায় খুন করতে পারে এবং এই খুনের দায়ে যাতে পুলিশের ঘাড়ে
না চাপে সেই জন্য পুলিশ সুপার মনোজ ভার্মা এক তরফা ভাবে তার ও ডালিমের
নিরাপত্তারক্ষী তুলে নিয়েছে| হ্যাঁ, এই পুরো ব্যাপারটায় নেতৃত্ব দিচ্ছে ভার্মা| তার এখন
কাজ হলো শিশির-শুভেন্দুর বেতনভুক হায়নাগুলোকে অনুজ আর ডালিম কোন রাস্তায় চলা ফেরা করে
সেগুলো চেনানো|
আমি অভিযোগ করছি— নির্বাচনের আগেই এলাকাতে ১৬০০ লোক খুন করার ও
৬০০০ মানুষকে বাস্তুচ্যুত কারার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ভার্মা-শিশির এন্ড শুভেন্দু
কোম্পানি|
মনোজ ভার্মা ক্ষুব্ধ কারণ তাকে বর্ধমানে পাঠানো হয়নি| আসলে ওই
ডেরাটা তো শুধু কয়লার খনি নয়, পুলিস প্রশাসকদের কাছে হীরের খনিও বটে| ৫ বছর
থাকা মানেই ৫০ কোটি টাকা! এটা কিনা পেয়ে গেল হুমায়ুন কবির?! পূর্ব মেদিনীপুরের
পুলিস সুপার বিশ্বাস অবশ্য বেশ ভালই আছেন। অধিকারীদের বাড়ির উঠোনে বসেই অফিস
চালাচ্ছেন। কোন কোন রাস্তা দিয়ে মুঙ্গের এবং বাংলাদেশের অস্ত্র ঢুকবে, সেই
পরিকল্পনাও করে দিচ্ছেন| এদিকে বেহালাতে ৬ তারিখের বিরোধী নেতার কর্মী
সভাতে সিদ্ধান্ত হয়েছে কলকাতাতে একটা এলাকাতেও যাতে বামপন্থীরা পোলিং এজেন্ট দিতে না
পারে তার জন্য নির্বাচনের ১৫ দিন আগে থেকে সন্ত্রাস সৃষ্টি করার|
এই ভয়ঙ্কর পরিবেশের মধ্যেই আপনারা একেবারে ‘মুহতোড়’ জবাব দিয়েছেন| সেলাম আপনাদের| আপনারা আবারও প্রমাণ করলেন, সন্ত্রাসবাদীদের সন্ত্রস্ত করেই সন্ত্রাস মুক্তি সম্ভব| হিম্মতকে সবার উপরে স্থান দিয়েই জঙ্গলের জীবদের
ক্যানেস্তারা পিটিয়ে, আগুন জ্বালিয়ে, আওয়াজ করে জঙ্গলেই পাঠাতে হয়| বাংলার
বিরোধী নেত্রী আর তার স্যাঙ্গাতরা নেহাত কাপড় পরে আছে, না হলে ওদের ঐ নর খাদকদের সাথে জঙ্গলেই
মানাবে ভালো| এই খুনে জল্লাদগুলোকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করার দায়িত্ব আপনাদের, অর্থাৎ ছাত্র-যুবদেরই নিতে হবে| বাংলাকে
নরখাদকদের বিচরণক্ষেত্র হতে দেওয়া যাবে না। রোধ করতে হবে ওদের।
এক দিকে স্বপন কোলের হত্যাকারীরা, সৌভিক হাজরার নির্যাতনকারীরা, এবং
সংবাদ মাধ্যম ও কলমবাজ গুণ্ডারা জোট বেঁধেছে| অন্য দিকে আছেন আপনারা। আপনাদের হাতেই
সততা, সত্য আর হিম্মত| ন্যায় আপনাদেরই পক্ষে| হিম্মতের সঙ্গে ন্যায়ের পতাকা তুলে ধরলে
লক্ষ্য মানুষ আসবে আপনাদের পাশে| ওই জঙ্গলমহলের শহীদদের মা, বোন, ভাই, বিধবারা
দুই হাত তুলে আশীর্বাদ করছেন আপনাদের| তাঁরা তাকিয়ে আছেন আপনাদের দিকে, আশায় বুক
বাঁধছেন যে আপনারা বাঁচিয়ে তুলবেন তাঁদের নিহত স্বজনদের|
ভবিষ্যৎ আপনাদের| এই কঠিন
কাজের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিতে পারেন আপনারাই| কেবল মাত্র শিক্ষাঙ্গনে নয়, পাড়ায়
পাড়ায় নির্যাতনকারী, খুনে, লম্পট, তোলাবাজদের বিরুদ্ধে মানুষকে সংগঠিত হতে সাহায্য
করুন। লাল ঝাণ্ডা লাঞ্ছিত হতে দেখলে একা হলেও ঝাঁপিয়ে পড়ুন|
সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে পাড়ায় পাড়ায় মানুষকে সাহসী করে তোলার অগ্রণী
ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে আপনাদের| কে এলো বা কে আসবে—এই সব না ভেবেই যতটুকু আছে, যা আছে, তা নিয়েই
প্রতিটি অন্যায়-আঘাতের প্রত্যাঘাত করুন| সংগ্রাম সুরু হোক আত্মস্বার্থের—“আমার কি
হবে?”—বিরুদ্ধে| লাল ঝাণ্ডার জন্য প্রয়োজনে সংগ্রাম শুরু করুন নিজের
ঘরে— বাবা, কাকা, জ্যাঠা, আত্মীয়দের বিরুদ্ধে নির্মম হোক সে লড়াই| মরতে দেবেন না স্বপন কোলেদের| আপনাদের
বিজয় কলরবেই সৌভিক দেখতে পাবে কি ঘটছে| সে যে রাজার রাজা... ! আর কে না জানে নৃপ
কর্ণেনঃ পশ্যতি? সে কানে শুনেই বিজয়ের যে ছবি আঁকবে সেটাই হবে আগামী বাংলার ছবি, প্রতিরোধের
ছবি, বিজয়ের ছবি!
সেলাম আপনাদের, আপনাদের মাধ্যমে বাংলার লড়াকু বামপন্থি ছাত্রদের|
Tuesday, January 18, 2011
Thursday, January 13, 2011
মাটি ফেরত পেতে মরিয়া জল্লাদরা
মা-কে ধর্ষণ করে (ছবি মাহাতো), মানুষকে খুন করে এখন জজ সাহেবদের জুজু
দেখিয়ে মাটি ফেরত পেতে চাইছে জল্লাদরা।
সত্যি, বেদের মেয়ে বটে! মসনদ তাকে পেতেই হবে। সাপুড়ে তার
খেল দেখাচ্ছে বিষধর সাপটাকে সবার শেষে ঝাঁপি থেকে বার করে। এত গুম, খুন, ধর্ষণ, উচ্ছেদের
পরেও যখন বাংলার মানুষকে বাম-বিরোধী করা যাচ্ছে না, তখন সাপুড়ে তার সবথেকে বিষধর সাপটাকে
বাজারে ছেড়েছে। এদের নাম বিচারক; যারা নিজেরাই অভিযুক্ত, তারা বসেছেন অভিযোগের ঝাঁপি খুলে ‘বিচার’ করতে।
প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি অভিযুক্ত স্বজন পোষণের দায়ে, এলাহাবাদের বিচার ব্যবস্থাতে দুর্গন্ধের বাতাস শুঁকছে সুপ্রিম কোর্ট! এগুলোর জন্য সিবিআই তদন্ত
হবে কিনা, সে রায় কে দেবে?
সাপুড়ের বাঁশির তালে তালে বিষধর তার ফণা তুলে হেলছে দুলছে... । ঘরে
ফেরা মানুষগুলোর বিরুদ্ধে মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ ঘোষণা করতে চলেছে বিচারকরা!
ছবি মাহাতোকে ২১জন ধর্ষণ করে জ্যান্ত পুঁতে ফেললে বিচার ব্যবস্থাতে
কোনো হেল দোল হয় না, কারণ সাপুড়ের ঝাঁপি বন্ধ।
৮৬ বছরের কমলা, ৫৬ বছরের সরস্বতীকে জ্যান্ত পুড়িয়ে মারা যায় কারণ তারা সিপিআইএম
কর্মীর মা এবং বোন! শিক্ষক দিবাকর মাহাতো খুন হতে পারেন কারণ তিনি কলম ছাড়তে রাজি
নন। ৬ হাজার লোককে বাস্তুচ্যুত করা যায় কারণ তারা বর্গা চাষি কিম্বা
পাট্টাধারী কৃষক। কোনো সুশীল গুণ্ডাই তাদের জন্য সিবিআই তদন্ত চান না। তাই ঝাঁপি বন্ধ
থাকে। বিচারকরা তখন কাগজ-ও পড়েন না, টিভি-ও দেখেন না।
চিদাম্বরমের চিঠিও যখন ভয় দেখাতে পারল না, ঘরে ফিরতে উন্মুখ মানুষগুলো দাঁতে দাঁত
চেপে স্থির প্রতিজ্ঞ, লাখ লাখ মানুষ জমলেন যেন ওই চিঠির জবাব দিতে, লাখো
ছাত্র জমায়েত করলেন শ্মশানের লাশচোর চাঁড়ালদের উপেক্ষা করে ও যুদ্ধবাজ শুভেন্দু অধিকারীকে
ব্যঙ্গ করে, তখনই ভাঁজ পড়ল সাপুড়ের কপালে। বাঁশি বেজে উঠলো, নেতাই
গ্রামে ৭জন খুন হলেন। ঝাঁপি খুলে গেলো... আমরা দেখলাম ‘সত্যমেব জয়তে’-র নিচে
বিষধর কালনাগিনীর দোলন। "... ডাকিনী যোগিনী, এলো শত নাগিনী, এলো পিশাচেরা এলো
রে..."
যদি একটা তাপসী মালিক তৈরি করা যায়! একজন সুহৃদ দত্ত খারা করতে
পারলেই বাজিমাত!
বুদ্ধিমান সুশীলরা আসলে ‘ব্রেনোপজে’ আক্রান্ত। নতুন ষড়যন্ত্র করতেও অপারগ। একই
অস্ত্র বার বার প্রয়োগ করলে ভোঁতা হয়ে যায়। হয়েওছে তাই। জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণায় নেমেছে এবার ‘বার অ্যাসোসিয়েশন। জুজু দেখাচ্ছে— ৩৫৬, ৩৫৫...। সামরিক কমান্ড, ২মাসেই নির্বাচন; সব ব্যর্থ হবার পর এখন সিবিআই। সাপুড়ে
(মানে কবির সুমন চিহ্নিত আমেরিকা, ব্রিটেন, জার্মান কনসালদের) বাঁশিতে ফুঁ পড়েছে। পরাজয়ের
দোরগোড়াতে কবরের কিনারা থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য পীরবাবা থেকে রামদেব বাবা, তৃণমূলী
মাও থেকে বিচার ব্যবস্থা—সব ঝাঁপি খুলে আমাদের মানুষগুলোর বিরুধ্যে
মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ ঘোষণা করেছে।
এই চ্যালেঞ্জকে আমাদের গ্রহণ করতেই হবে। নাহলে জগত শেঠ, মীরজাফর, উমিচাঁদদের
ভিড়ে দাঁড়াতে হবে আমাদের।
সিআইডি ব্যর্থ হয়েছে, সিবিআই সমাধান করেছে এরম একটা ঘটনাও তো ঘটেনি।
কেবল মাত্র ব্যতিক্রম সিঙ্গুরের তাপসী মালিকের ঘটনা। সেখানেও
পরবর্তীকালে জানা গেলো সিবিআই অফিসারটা টাকা খেয়ে তাপসী মালিক ধর্ষণের গপ্পো তৈরি
করেছে। তার বিরুদ্ধে এখন বিচার চলছে।
মাননীয় বিচারকরা এতদিন ত্রিমূর্তি ভবনের বাঁদর (কু দেখব না, কু বলব
না, কু শুনব না) হয়েছিলেন। হঠাৎ যখন চোখ-কান-মুখ
থেকে তারা হাত সরিয়ে নিয়েছেন, তখন শুনুন— আমরা বাংলার প্রতিরোধী কৃষকদের তরফ থেকে
সিবিআই তদন্ত চাইছি: (এক) ছবি মাহাতোর কেসে, (দুই)শাল্কু
সোরেনের কেসে, (তিন) নীলমণি টুডুর কেসে, (চার) দিবাকর মাহাতোর
কেসে, (পাঁচ) ঝালদার একজন মহিলা অঞ্চল প্রধান সহ চারজনকে মেরে ফেলে রাখার
কেসে...। আর কত বলব? এরকম ২৫৬টা মোকদ্দমার আমরা সিবিআই তদন্ত চাই। যদি না হয় তাহলে কেউ বলতেই পারেন, সামথিং
ইজ রটেন ইন কলকাতা হাইকোর্ট।
আমাদের লেখাকে আর্জি হিসাবে ধরে কি মামলা রুজু করবেন? আমাকে
নগ্নপদ জনগণের প্রতিনিধি হিসাবে এজলাসে হাজির থাকার অধিকার
দেবেন?
বাংলার বিরুধ্যে যুদ্ধ ঘোষণায় শরিক হয়ে ‘মহামান্য’ আদালতকে জনতার কাঠগড়াতে তুলবেন না দয়া করে।
বিচার ব্যবস্থার পরাজয় ঘটবে এটা খেয়াল রাখবেন। আর কেউ না জানুক, যাদের সাথে
বসে চক্রান্ত হয়েছে তারা তো জানে।
জিততে হবেই এই মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধে। জিততেই হবে। সত্য আমাদের পক্ষে।
যদি জল্লাদ তৃণমূলী-মাওবাদী আর কলমবাজ গুণ্ডা বিদ্বজ্জনদের অভিযোগ সত্য বলে ধরেওনি, যদি ধরেইনি শরণার্থী শিবির থেকেই গুলি চলেছে, তাহলেও
তো শিবিরের লোকদের সেলাম জানাতে হয়। এ যেন গাজা স্ট্রিপ-এ
শরণার্থী মানুষদের ওপর ইজরাইলি হানাদারদের অত্যাচারের বিরুধ্যে হামাস-এর
প্রত্যাঘাত! ওখানে আমেরিকার গোসা হয়, এখানে জজ সাহেবরা কাঁদেন...
স্বজন হারিয়ে, ভিটে-মাটি উচ্ছেদ হওয়া মানুষ কোনো নিয়ম জানেন না।
কোনো নিয়মই তাদের ওপর খাটে না। তাদের নিজেদের ভিটেতে ফিরে যাবার জন্য সবই পথই
ন্যায়ের। স্বজন হারানো শ্মশানে জল্লাদের চিতা তাঁরা জ্বালাতেই পারেন। এতে দোষের
কিছু নেই, থাকতে পারে না!
লালগড়ের প্রতিরোধী কৃষকদের প্রতি
অভিনন্দন আপনাদের। বহু রক্তের বিনিময়ে আপনারা প্রতিক্রিয়া ও নৈরাজ্যের
বিরুদ্ধে আপোষহীন ভাবে সংগ্রাম করে একটা পর্যায়ে জয়লাভ
করেছেন। আপনাদের এই বিজয় সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের মনে আবার নতুন করে বাঁচার আশার
সঞ্চার করেছে। আপনাদের বিজয়ের ফসলগুলোকে রক্ষা করুন। আশা রাখি আপনারা বিজয়ের
ফসলগুলোকে সংহত করে এবং রাজনৈতিক কাজকে অগ্রাধিকার দিয়ে মুক্তির মহাকাব্য রচনা
করার দিকে এগিয়ে যাবেন।
ভুলে গেলে চলবে না যে এই মুহূর্তে শত্রুর নাম অসতর্কতা। তাই এখন প্রধান
কর্তব্য (আপনাদের অভিজ্ঞতা দিয়েই আপনারা শিখিয়েছেন) রাজনীতিকে অগ্রাধিকার দেওয়া।
শ্রেণী সংগ্রাম এবং শ্রেণী মিত্রদের সাথে ঐক্য গড়ে প্রকৃত যুক্ত ফ্রন্ট গড়ার পথে গুণ্ডা সর্দার শুভেন্দু অধিকারী এবং তার সহযোগী কোটেশ্বর রাওদের
চিরতরে উৎখাত করার দিকে এগিয়ে যান। আবার প্রমাণ হোক: সাবাস বাংলাদেশ! জ্বলে পুরে
মরে ছারখার তবু মাথা নোয়াবার নয়।
আপনারাই তুলে ধরছেন শত শহীদের রক্তে রাঙ্গা লাল পতাকা; যখন
মাও-এর নামে এক দল দুষ্কৃতি জঙ্গল মহলের মাটিতে প্রতিদিন মাওসে-তুং কে হত্যা করছিল, সেই সময়
আপনাদের সংগ্রাম বাংলার মাটিতে পুনর্জীবিত করলো চেয়ারম্যান মাও কে। অভিজ্ঞতা দিয়েই
আপনারা শেখালেন হিম্মতের কোনো বিকল্প নেই। শেখালেন যে, হিম্মতের সাথে বিন্দু ভেঙ্গে এগিয়ে গেলে হাজার
লক্ষ্য মানুষ সমর্থনে এগিয়ে আসেন, কারণ চেয়ারম্যান মাও -ই বলেছেন, ন্যায়
কাজ শেষ বিচারে প্রচুর জনসমর্থন পায়।
আবার আপনাদের অভিনন্দন। আপনাদের প্রতিটি দৃপ্ত পদক্ষেপ আমার মত অশক্ত
মানুষদের নতুন করে হিম্মত যোগাচ্ছে। তাই আপনারা আমার শিক্ষক। আমার অভিনন্দন গ্রহণ
করুন। এগিয়ে চলুন অন্তিম বিজয়ের দিকে। প্রতি মুহূর্তে আপনারা বাঁচিয়ে তুলেছেন চেয়ারম্যান মাও-কে, সংগ্রাম পরিচালনা করেছেন তাঁর চিন্তাধারার
আলোকে। কমরেডস, বাংলার মাটিতে প্রতিক্রিয়ার যে পুনরুত্থান ঘটানোর চক্রান্ত চালাবার চেষ্টা
হচ্ছে, তার বিরুদ্ধে আপনারাই প্রধান শক্তি। তাই আপনাদের ওপরেই আমাদের সমস্ত
ভরসা। আশা রাখি খেত খামার বেয়ে যে সংগ্রাম গড়ে উঠেছে, তা ভবিষ্যতে চূড়ান্ত বিজয়ের পথ দেখাবে।
শ্রেণী সংগ্রাম কখনো ভুলবেন না। সাহসকে সবার ওপরে স্থান দিন। জয়
আপনাদের হবেই।
অভিনন্দন গ্রহণ করুন
আজিজুল হক
Subscribe to:
Posts (Atom)