সমগ্র দেশের গ্রামাঞ্চলে বাস্তবে এক দুর্বিষহ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। কেন্দ্রের গুদামে লক্ষ লক্ষ টন চাল, গম পচছে; তবুও
সেগুলো অল্প দামে ‘নিয়ন্ত্রিত বিক্রয় সংস্থা’ মারফত
গরীবদের বণ্টন করা হচ্ছে না। গত দু-মাসে খাদ্যদ্রব্যের দাম ২০
গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ওপর বেড়েছে পেট্রোপণ্যের দাম। কেন্দ্র ব্যস্ত আমেরিকা কে
রিলিফ দিতে। ‘পরমাণু দায়বদ্ধতা বিল’ অনুমোদন করিয়ে, আমেরিকান বর্জ্য পদার্থগুলো আমাদের ঘাড়ে
চাপাচ্ছে।
সমগ্র দেশ জুড়ে চলছে প্রতিক্রিয়ার পুনরুত্থান। বাংলাতে ‘৭৮ সালের পর থেকে
গ্রামাঞ্চলে জোতদার-জমিদার, মহাজন, এবং শহরাঞ্চলে বদবাবু, আমলা, মাস্তানরা যে সামাজিক কর্তৃত্ব
হারিয়েছিল-তারা আজ গর্ত থেকে বেড়িয়ে তৃণমূল কংগ্রেস ও মূল কংগ্রেসের নেতৃত্বে
হারানো জমি পুনরুদ্ধারে নেমেছে। সি.পি.আই.-এম উচ্ছেদের নামে ইতিমধ্যে
প্রায় ৬’হাজার বর্গাদার উচ্ছেদ করেছে ওরা। পূর্ব মেদিনীপুরে অধিকারী পরিবার
তাদের খাস হয়ে যাওয়া জমিগুলো সব উদ্ধার করেছে পাট্টা পাওয়া কৃষকদের খুন করে। মাওবাদী নামক দলটি এদের হাতে খেলছে।
দেরীতে হলেও গ্রামাঞ্চলের কৃষকেরা অর্জিত অধিকার রক্ষার দায়ে প্রতিরোধ
সংগ্রামে নেমেছেন। পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়ার কৃষকরা গ্রামগুলো থেকে এই
প্রতিক্রিয়ার শক্তিকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করছেন।
এই প্রতিক্রিয়া বিরোধী, প্রতিরোধী কৃষক জনগণ আমাদের সমর্থন চান, সহযোগিতা
কামনা করেন। আসুন, আমাদের নৈতিক-রাজনৈতিক সমর্থন দিয়ে শহরে গ্রামে
গড়ে তুলি কৃষকদের প্রতিরোধ সংগ্রাম সহায়ক কমিটি। ওরা রক্ত দিচ্ছেন দেশটাকে
প্রতিক্রিয়ার হাত থেকে বাঁচানোর জন্য। আসুন, আমরা উজাড় করে দিই আমাদের সমর্থন।
আজিজুল হক